Posts

শিলা (Rocks)

Image
                                    ধারণা পৃথিবী যে শক্ত আবরণ দিয়ে ঢাকা, তাকে শিলা বলে। অথাৎ, শিলা এক বা একাধিক খনিজের সমসত্ত্ব বা অসমসত্ত্ব মিশ্রণ। শিলা গঠনকারী কয়েকটি খনিজ হল সিলিকেট, কোয়ার্টস, হর্নব্রেন্ড, ফেলস্পার, অভ্র, ক্যালসাইট প্রভৃতি।                           যেমন-গ্র্যানাইট শিলা কোয়ার্টস, ফেলস্পার, মাইকা ও হর্নব্লেন্ড খনিজ দ্বারা গঠিত। আবার - চুনাপাথর শুধুমাত্র ক্যালসাইট অথবা অ্যারাগোনাইট খনিজ দিয়ে গঠিত।   🪨 শিলার  শ্রেণীবিভাগ :  প্রকৃতিতে বিভিন্ন রকমের শিলা দেখতে পাওয়া যায় এদের সৃষ্টি আর বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে শিলাকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় ।যেমন —                           (১) আগ্নেয় শিলা,                           (২) পাললিক শিলা ও          ...

আবহবিকার

Image
 🪨 ভূমিকা: আবহাওয়া (weather) থেকেই আবহবিকার (weathering) কথাটির উৎপত্তি হয়েছে। আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদানের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের নানা রকমের 'বিকার' বা পরিবর্তনকে আবহবিকার বলা হয়। ☛ সংজ্ঞা: যখন আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান (যেমন- বায়ুর উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা প্রভৃতি) দ্বারা ভূত্বকের উপরিভাগের শিলাস্তরসমূহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে মূল শিলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অবস্থান করে তাকে বলে আবহবিকার।                        প্রকৃতপক্ষে, আবহবিকার হল একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ভূত্বকের উপরিভাগে শিলাসমূহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়।  এজন্য আবহবিকারের আরেক নাম বিচূর্ণীভবন(Disintegration)।    🪨 আবহবিকারের প্রকারভেদ: আবহবিকার প্রধানত তিন প্রকার— A. যান্ত্রিক বা ভৌত আবহবিকার। B. রাসায়নিক আবহবিকার। C. জৈব- রাসায়নিক আবহবিকার।  ◉ যান্ত্রিক বা ভৌত আবহবিকার: ☛ সংজ্ঞা:   তাপমাত্রা দ্রুত পরিবর্তন, কেলাস গঠন, শিলাস্তরের চাপের হ্রাস- বৃদ্ধি কীটপতঙ্গের জৈবিক কার্যাবলী প্রভৃতির প্রভাবে যান্ত্রিক বা ভৌত পরিবর্তন ঘটলে শিলাসমূহ চূর্ণ-বিচ...

ভারতের কৃষি

Image
 ভারত কৃষি প্রধান দেশ দেশের প্রায় অর্ধেক শ্রমজীবী মানুষ কৃষিকাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে (জাপানের ৬ শতাংশ এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ৩ শতাংশ অধিবাসী কৃষিজীবী)।    ▲ ভারতীয় কৃষির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য: ভারতীয় কৃষির কতগুলি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন— ◉ জীবিকা সত্ত্বাবৃত্তিক কৃষি: ভারতীয় কিসের প্রধান বৈশিষ্ট্যই হলো জীবিকাসত্তাভিত্তিক কৃষি। জনসংখ্যা খুব বেশি বলে উৎপাদিত ফসলের বেশিরভাগটাই নিজেদের জীবনধারণে ব্যবহৃত হয় ।রপ্তানিযোগ্য উদ্বৃত্ত বিশেষ থাকেনা। ◉ জনসংখ্যার চাপ: কৃষিকাজে অত্যাধিক মানুষ নিয়োজিত থাকে অর্থাৎ কৃষির উপর জনসংখ্যা চাপ অত্যন্ত বেশি। তাই ভারতীয় কৃষি হলো শ্রম নিবিড় কৃষি। ◉ কৃষিতে পশু শক্তির প্রাধান্য: কৃষি জমিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি (ট্রাক্টর, হারভেস্টার) পরিবর্তে অধিকাংশ স্থানের লাঙ্গল দিয়ে জমি কর্ষণ থেকে শুরু করে উৎপাদিত ফসল মাঠ থেকে বহন করে আনা– প্রায় সব কাজেই পশু শক্তি ব্যবহৃত হয়। ◉ মৌসুমী বৃষ্টির উপর নির্ভরতা: বেশিরভাগ জায়গায় মৌসুমী বৃষ্টির উপর নির্ভর করে বছরে একবার কৃষি কাজ করা হয়। ◉  জল সেচের ব্যবহার: যেসব জমিতে জল সেচ...

সমুদ্রস্রোত

Image
🌐 সমুদ্র স্রোত - ধারণা ও প্রকারভেদ : পৃথিবীর আবর্তন গতি, বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্র জলে লবণতা, ঘনত্ব ও উষ্ণতার তারতম্যের জন্য সমুদ্রের কতকগুলি নির্দিষ্ট অংশের জল প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হয়। সমুদ্র জলের এই প্রবাহ বা গতিকেই বলে সমুদ্রস্রোত।  অন্যদিকে, সমুদ্রে যে ঢেউ ওঠে তাতে জলরাশি কোনো দিকে প্রবাহিত হয় না, একজায়গাতেই ওঠানামা করে।একে বলে সমুদ্র তরঙ্গ। 🌐 সমুদ্রস্রোতের প্রকারভেদ: সমুদ্রস্রোত দু-প্রকারের-— ◉ উষ্ণ স্রোত:    উষ্ণ মন্ডলের  উষ্ণ ও হালকা   জল      পৃষ্ঠপ্রবাহরূপে সমূদ্রের ওপর অংশ দিয়ে শীতল মেরুপ্রদেশের দিকে বয়ে যায় ।  এর নাম উষ্ণ স্রোত।  ◉ শীতল স্রোত:   উষ্ণমণ্ডলের জলের এই অভাব পূরণের জন্য মেরু অঞ্চলের শীতল ও ভারী জল সমুদ্রের নিম্নাংশ দিয়ে।অন্তঃপ্রবাহৰূপে উষ্ণমণ্ডলের দিকে বয়ে যায়। এর নাম শীতল স্রোত।   🌐 সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির কারণ: সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির উল্লেখযোগ্য কারণগুলি হল— 🍥 পৃথিবীর আবর্তন: পৃথিবী তার নিজের অক্ষের ওপর আবর্তন করায় যে কোরিওলিস বলের (Coriolis force) উৎপন্থি হয়, তার প্রভাবে সমুদ্রস্রোত...

বজ্র ব্যবস্থাপনা

Image
  ♽ বজ্রের ধারণা- প্রতিদিন আমরা নানা ধরনের কাজ করি এবং সেইসব কাজের জন্য বহু রকম জিনিস ব্যবহার করতে হয়। এরপর কাজের শেষে দেখা যায় কিছু কিছু জিনিস আমাদের কাজে লাগে না। সেগুলি তখন অবব্যবহারযোগ্য বা অপ্রয়োজনীয় বলে আমরা ফেলে  দিই। যেমন- খাবারের প্যাকেট, ভাঙাচোরা খেলনা, শিশি বোতল ভাঙ্গা, কেটে যাওয়া বাল্ব ,ও টিউব লাইট, ময়লা কাগজ ইত্যাদি। এগুলি আমরা  বর্জন করি বা ফেলে দিই। এগুলিই হলো বর্জ্য পদার্থ। প্রকৃতপক্ষে দৈনন্দিন জীবনে বাতিল সব পদার্থই বর্জ্য।   অন্যভাবে বলতে পারো— যেকোনো কঠিন, তরল, কিংবা গ্যাসীয় পদার্থ যেগুলি আমাদের কোনো কাজে লাগে না অর্থাৎ ফেলে দেওয়া প্রয়োজন, সেগুলি হল বর্জ্য পদার্থ। বাড়ির মতো কলকারখানা হাসপাতাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অফিস আদালতেও এই ধরনের অপ্রয়োজনে জিনিস বা বর্জ্য পদার্থ বেরোয় এবং তার পরিমাণ অনেক বেশি। আর এগুলিই নোংরা বা আবর্জনা হয়ে বাড়ির আশেপাশে বা রাস্তার ধারে পড়ে থেকে পরিবেশকে দূষিত করে। ♼বর্জ্যের প্রকারভেদ- সাধারণভাবে বর্জ্য পদার্থ সমূহকে তিনটে বিভাগে ভাগ করা যায়।— কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয়। ♻ কঠিন বর্জ্য পদার্থ: বর্জ্য পদার্থের মধ্যে কা...